লক ডাউন  মধ্যবর্তী  ও পরবর্তীকালে কি  হবে মধ্যবিত্ত  বিশেষভাবে নিম্ন মধ্যবিত্তদের ?  -প্রদীপ কুমার রায়। 
পিকচার সোর্স : ফেসবুক 
সরকারী কর্মচারী ছাড়া প্রায় সবারই রোজগার বন্ধ হয়ে আছে। বড়লোকদের তো একবছর লক ডাউন  থাকলেও সমস্যা হবে না। নিম্ন শ্রেণীর লোকেরাও সরকারি সুবিধা পাচ্ছে । তারা বিনা মূল্যে চাল ,গম বা আটা  বর্তমান ঘোষণা  অনুযায়ী আগামী ছয় মাস পর্যন্ত পাবে এবং পরবর্তী কালে আবারো নির্ণয় নেওয়া হবে।  কিন্তু এই সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণী বা বিশেষ করে নিম্ন  মধ্যবিত্ত শ্রেণী যারা কোন মতে সংসার চালায়, তাদেরই বেশি সমস্যা দেখা দেবে। এই লোকগুলো বেশির ভাগটাই সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মদ্যবিত্তদের একটা গুন আছে , নিজেদের শত কষ্ট হলেও লজ্জায় কারো কাছে মুখ খুলবে না। তাই দেওয়ালে পিঠটা মধ্যবিত্তদেরই ঠেকেছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত, যারা একটু স্বাভিমান নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন নির্বাহ করে, তাঁরা  চাইতে বড়ই লজ্জিত বোধ করে , কেননা সমাজের চোখে তাদের  ভেতরের কষ্টটা বুঝতে পারার ক্ষমতা খুবই কম।  তাঁদের  শত কষ্টের মধ্যেও নিজেদের সামলে রাখার একটা প্রবণতা আছে। এই মূহুর্তে ধনী এবং গরীবের চেয়েও বেশী কষ্টে পড়েছে মধ্যবিত্তরা তারা না পারছে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রান নিতে আর  না পারছে কাউকে কিছু বলতে। লজ্জায় হয়তো আপনাকে বলবে না কিন্তু দিন শেষে তারাই অভুক্ত থাকছে না তো? 

পিকচার সোর্স : ফেসবুক 
মানুষ সামান্য দান করেই নিজেকে দাতা হিসেবে, সকলের সামনে তা তুলে ধরে! অথচ ঈশ্বর এই সমগ্র বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড দান করেও নিজেকে সর্বদা লুকায়িত রেখেছেন । অনেকেই  ভুলে যান তার যা আছে সমস্ত কিছু ঈশ্বরই দিয়েছেন । গরীবকে একটুখানি, চাল,সোয়াবিন, আর দুই টাকা দামের সাবান দিয়ে ছবি তুলছে, আমি দান করছি, ফেসবুকে পোস্ট করবে বলে। আড়ালে যে দান করে সেই দাতা, বাকি সব বিজ্ঞাপনদাতা । দয়া করে কেউ কাউকে কিছু দিলে ছবি তুলবেনা না,  এতে অন্যদের ছোট করা হয়।যাদেরকে আপনারা খাবার দিচ্ছেন তারা পরিস্থিতির শিকার, ভিখারি নয়! আমরা সবাই মানুষ, কাকে কখন কার কাছে যেতে হবে আমরা কেউ জানিনা। 

পিকচার সোর্স : ফেসবুক 
আজ অব্দি গরিবের মৃত্যু নিয়ে ভাবেন নি  আজ বড়লোক বিমান যাত্রীদের জন্য  আমরা নিজেদের মৃত্যুর ছায়া দেখছি। আপনারা কেন দশ দিন আগে লক-ডাউন করলেন না? সংসদ খোলা রাখলেন আর আন্তর্জাতিক বিমান চালালেন ? শুধু মধ্যপ্রদেশে ঘুর পথে নিজেদের স্বার্থকে চরিতার্থ  করতে ?

সারা দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে করোনা ভাইরাস এর মোকাবিলায়। জনগণের হিতার্থে ঘরে থাকার নির্দেশও জারি হয়েছে। মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় বিপদের সামনে আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি। এই সময়টা দুপুরে খাসির মাংস খেয়ে ক্রিকেট খেলার বা রাস্তায় নেমে থালাবাটি বাজাবার সময় নয়। সঞ্চয় করুন। লম্বা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হোন। সামনে যা আসছে তা আপনারা ভাবতেও পারছেন না। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে  অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে পড়তে চলেছেন। করোনার প্রকোপ থেকে যদি বেঁচেও যান , তাহলে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন তো? যেসব ছোট খাটো রিটেল ব্যবসা যা অত্যাবশকীয় জিনিস  ( ওষুধ,সবজি, চাল,গম,চিনি,নুন ইত্যাদি ) সম্পর্কিত নয় বা শুধুমাত্র জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নয় , তাদের অবস্থা কি হবে? কি হবে ছোট মোবাইলের দোকান , ইলেক্ট্রিকের দোকান, ইলেক্ট্রনিকসের দোকান, কাপড়ের দোকান , সোনা-রুপার দোকান , কনজিউমার ডিউরেবলসের দোকান ইত্যাদির ? কি হবে  উচ্চ শিক্ষিত হয়ে চাকুরী প্রার্থীদের  ? কি হবে ব্রাহ্মণদের যারা পূজাদির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। কি ভবিষ্যৎ স্কিল ডেভলপমেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলির, কি হবে নাপিতদের  ? ..?....?.....?.. .?... ?কি ভাবে হবে এই সবের সঙ্গে যুক্ত লোকেদের জীবিকা নির্বাহ। 


পিকচার সোর্স : ফেসবুক 
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে ভারতে করোনা বিপর্যয়ের ফলে ১৯ কোটি লোক চাকরিহীন হবেন এবং ৪০ কোটি লোক দারিদ্র সীমার নিচে চলে যাবেন ।  আপনার কোনো ধারণা আছে যে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তদের অভাবটা কি হতে পারে? আচ্ছা , আপনি দারিদ্র বা অভাব  কি জানেন ? অর্থনীতিতে বস্তুগত বা অবস্তুগত কোনো দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খাকে অভাব বলে। এটা তো অর্থনীতির ভাষাসাধারণত অভাব কাকে বলে? -----
  • আমি কলেজে যাবার  সময় মা আমাকে ভাড়া দিতে গিয়ে তার ব্যাগ তন্ন তন্ন করে খুঁজে অনেক কষ্টে ৫ টাকা বের করে দেন, আর আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ  পর বাড়িতে ফিরে ভাড়ার টাকাটা মাকে দিয়ে বলি, মা! আজ কলেজে ক্লাস হবে না। মা তখন বলেন আগে খবর নিবি না কলেজ হবে কিনা? মায়ের সাথে এই  যে লুকোচুরি , এটাই হচ্ছে  আমার কাছে  অভাব।
  • বাবা যখন ভোর পাঁচটায় বেরিয়ে রাত করে বাড়ি আসেন মা তখন বাবাকে জিজ্ঞেস করেন এত রাত হলো কেন ফিরতে? বাবা বলেন তিন শিফটে কাজ করলাম । আর তা না করলে সংসার কিভাবে চলবে? বাবার এই অতিরিক্ত পরিশ্রমই  হচ্ছে আমার কাছে অভাব।
  • ছোট ভাই মাস শেষে প্রাইভেট টিচারের টাকা বাবার কাছে চাইতে যখন সংকোচবোধ করে সেটাই আমার কাছে অভাব।
  • মাকে যখন দেখি ছেঁড়া কাপড়ে সেলাই দিতে দিতে বলে কাপড়টা অনেক ভাল আরো কিছুদিন পড়া  যাবে , এটাই আমার কাছে অভাব।
  • বাবার পায়ের চটিটা   পেরেক পুঁতে সারিয়ে পড়েন , পা মাঝে মাঝে পেরেকের আঘাতে রক্তাক্ত হয় তবুও আবার সরিয়ে পড়েন আর জিজ্ঞাসা করলে বলেন যে "এই চটিটা খুব আরামদায়ক, তাই ফেলে দিতে পারছি না"। হ্যাঁ , এটাই আমার কাছে অভাব।
  • মাস শেষে টিউশনির পুরো টাকাটা মায়ের হাতে দিয়ে বলি, মা এটা তুমি সংসারে খরচ করো, মা তখন একটা স্বস্তির হাসি হাসেন। এই স্বস্তির হাসিটাই  হচ্ছে আমার কাছে অভাব।
  • বন্ধুদের নামি  দামী  জামা কাপড়ের  ভিড়ে নিজের কলার ফাটা জামার আর পিছন ছেঁড়া প্যান্টটা     যখন  লজ্জায় লুকিয়ে রাখি , এই লজ্জাই আমার কাছে অভাব।
  • অভাবী হওয়ায় কাছের মানুষগুলো যখন আস্তে আস্তে দূরে সরে যায়, এই দূরে সরে পড়াটাই আমার কাছে অভাব।
  • পিকচার সোর্স : ফেসবুক 
ফেসবুকে দেখছি যে করোনা ভাইরাসে যে সকল  কর্মী কর্মরত তাদের  সবার নাম করা হচ্ছে। মানুষ সামান্য কিছু করেই নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবে, অথচ ঈশ্বর জগতের সমস্ত কিছু কার্যাদি করেও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করার প্রয়োজন মনে করে না। সন্তানের অসুখে মা যখন চিকিৎসার জন্য ডাক্তার ডাকেন তখন ডাক্তার মাকে কাঁদতে দেখে বলেন, কাঁদবেন না! ভয় কিসের? আমিতো আছি! তখন ঈশ্বর হাসেন! কারন ডাক্তার জানেন না ভগবান যাকে মারেন তাকে রক্ষা করার কেউ নেই! আর ভগবান যখন বাঁচান তখন তাঁকে মারে এমন কোনো শক্তিই পৃথিবীতে নেই! কেননা স্থান, ডাক্তার, ঔষধ এসব কেবলই উপলক্ষ মাত্র! 

এখন বুঝতে পারছেন তো যে ডাক্তার মানে কি ? তাদের কাজ কি? কোনো রোগ নির্নয়ের জন্য  বৈজ্ঞানিকরা কিট অথবা মেডিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট তৈরী  করে দেবেন , রোগের ওষুধ  তৈরী  করে দেবেন , রোগটির লক্ষণ বর্ননা করে দেবেন আর  তারপর ডাক্তাররা নিজেদেরকে সমাজবন্ধু বা কেউ কেউ নিজেদেরকে ভগবান মনে করিয়ে দিয়ে  অন্যের আবিষ্কৃত যন্ত্রের সাহায্যে রোগ নির্নয় করে অন্যের আবিষ্কৃত ওষুধ প্রয়োগ করে নিজেদেরকে মহামূল্যবান মানব হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন ও সমাজের উচ্চ জায়গাটি দখল করে থাকবেন ।  আর যতক্ষন  না রোগ নির্ণীত হবে বা ওষুধ আবিষ্কৃত হবে ততক্ষন পর্যন্ত লক ডাউনে  থাকার পরামর্শ এবং তার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে প্রশাসনকে দ্বিধা ও দ্বন্ধে রাখবেন যাতে করে তাদের দেউলিয়াপনা সমাজের চোখে ধরা না পড়ে । এখন আমার প্রশ্ন যে তথাকথিত ডাক্তারদের তাহলে কাজটা কি?  যারা শুধু প্রাইভেট চেম্বার করেন  তারা বেশিরভাগ  এখন করোনার ভয়ে সব বন্ধ করে দিয়ে হসপিটালে গিয়ে চিকিৎসার দোহাই দিচ্ছেন  আর বলে দিচ্ছেন যে তাঁরা এখন নিজ সিদ্ধান্তে হোম কোয়ারান্টিনে আছেন ৷ আর বেশিরভাগ   সরকারি বা বেসরকরি চাকুরীরত চিকিৎসকরা মনুষ্যতের টানে বা সমাজ সেবার জন্য নয় কেবল পেশাগত বাধ্যবাধকতার জন্য চিকিৎসা করছেন যদিও তারা রুগীর পরিচর্যার জন্য সামনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন নার্সদের  আর নার্সরা ঠেলে দিচ্ছেন অধস্তন কর্মীদের।চিকিৎসকদের সাথে দয়া করে ভগবান বা সৈন্যবাহিনীর তুলনা করবেন না। এতে ভগবানের বা সেনাদের অপমান করা হয়। 
দুনিয়ার কোথাও পর্যাপ্ত পিপিই নাই এমনকি উন্নত বিশ্বেও মাথায় পলিথিনের গার্বেজ ব্যাগ লাগিয়ে পিপিই বানিয়ে চিকিসাকর্মীরা চিকিৎসা দিচ্ছেন। অথচ তাঁরা কেউ পালিয়ে ঘরে খিল এটে বসে থাকেনি। ব্রিটেন সরকারের স্বাস্থ্য  বিভাগ আড়াই লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক চেয়েছিল, দিনের মাথায় সাড়ে লক্ষ মানুষ স্বেচ্ছায় করোনা মোকাবেলায় নাম তালিকাভুক্ত করেছে ! এরা মরার ভয় পায় নি, এটাই মনুষ্যত্বের  স্পিরিট। দেশে দেশে রিটায়ার্ড বুড়োবুড়ি ডাক্তার নার্স স্বেচ্ছায় নিজ পেশায় ফিরে এসেছে দায়িত্ব পালন করতে। কিউবার ডাক্তাররা সীমান্ত পেরিয়ে ইতালি গেছে সেবা করতে। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত তাঁর ডাক্তারি লাইসেন্স নবায়ন করে হাসপাতালে সহায়তা করতে ফিরে গেছেন।এগুলোর নামই মনুষ্যত্ব  
অথচ আপনারা বেসরকারি চেম্বার, নার্সিং হোম , হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিয়ে, প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে দরজায় খিল এটে বসে আছেন। সাধারন রোগীদের কাছ থেকে সারা বছর আয় করে এখন সেই রোগীদেরকে ঠেলে দিচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে। আর সরকারি হাসপাতালে কি হচ্ছে জানেন? সব ফাঁকা ,রোগী নেওয়াই হচ্ছে না , প্রমান চান তো একবার আপনার কাছের ( গ্রাম ও মফঃস্বল) হাসপাতালটা পরিদর্শন করে আসুন। ব্যাংকার, পুলিশ, সাংবাদিক, পরিচ্ছনতাকর্মী- কারা এই সংকটে কাজ ফেলে পালিয়েছেকিছু মানুষ জাতির ক্রান্তিলগ্নে সাড়া দিতে পারে, সবাই পারে না। আপনারা পারছেন না। সেটা নিয়ে দুঃখ নেই।কিন্তু দরজায় খিল এটে  লক ডাউনের পরামর্শ  দিয়ে  নিজেদের কর্তব্য শেষ করছেন। ভাগ্যিস আপনাদের মতো মানুষ আমাদের বেশি নাই। থাকলে দেশ স্বাধীন হতো না। গ্রামের যে কৃষক জীবনে কোনদিন অস্ত্র দেখে নাই, সেও লুঙিতে কাছা মেরে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তো না।

পিকচার সোর্স : ফেসবুক 
লক ডাউন ঘোষণার পর আমরা কিন্তু  কেউই গাড়ি,বাড়ী ,সোনা বা দামি মোবাইল কিনতে ছুটে যায়নি , আমরা সকলেই ছুটেছি চাল,ডাল,আটা,শাক,সবজি কিনতে।  কৃষকরাই আসলে সমাজবন্ধু , এদেরকে আমাদের  সর্বদা সন্মান করা উচিত।
মানুষ পুন্য করার সময় চিন্তা করে, ঈশ্বর তাকে এর বিনিময় সুখলাভ দিবে! অথচ সে পাপ করার সময় ভুলে যায় তার এই পাপের জন্য তাকে সাজা দেওয়া হবে। আর পাপের পরিনাম সদা কষ্টই হয়, আর এটাই চরমসত্য! কিন্ত মানুষ কখনও চিন্তাই করেনা, তার পাপের বিষয়েমানুষ যখন পাপ করে তখন সে ভুলে যায়, এর পরিনাম সাজা, কষ্ট, যন্ত্রনা তাকে ভোগ করতে হবে। আর বস্তত সেটাই সর্বদা ঘটে থাকে। কিন্ত আমরা যখন এর ফল পাই, তখন আমরাই আবার ঈশ্বরকে দোষারোপ করিহে ঈশ্বর, এত কষ্টময় জীবন কেন দিলে? আমরা ভুলে যাই, আমাদের পাপের কথা, আমাদের কৃত কর্মের কথামানুষ চিন্তা করে ঈশ্বর যেনো সর্বদা তাকে সুখী রাখেঅথচ ঈশ্বরের এই জগতে কত মানুষ দুঃখী, কতো অভাবী! যারা সবসময় তাদের সাহায্য প্রার্থনা করে, কিন্ত তারা কখনই তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করিনা! অথচ তারাই সবসময় ঈশ্বরের কাছে কামনা করে তাদের সুখের জন্যমানুষ এমন জীবন চায়, যে জীবন হোক সফলতাময়,কিন্ত সেই সফলতার জন্য মানুষ শ্রম করতে চায় নামানুষ অন্যের অর্জনে হিংসা করে, ঈর্ষা করে, লোভ করেঅথচ সে জানেই না, সে চাইলেই এগুলো অর্জন করতে পারে।  মানুষ তার সমগ্র জীবনে সর্বদা ইহোকালেরই চিন্তা করেআর তার জন্য ধন, দৌলত, ঐর্শয্য, যশ, খ্যাতি অর্জন করে! অথচ সে বুঝতেই চায়না, তার মৃত্যুর সময় কিছুই যাবে না! সে ভুলেই যায় তার পরকাল নিয়ে, আর ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে পড়ে। আর তার পরিনাম  কেবল যন্ত্রণাময়।
পিকচার সোর্স : ফেসবুক 

Comments

  1. An informative blog on how to open Zero Balance Account with just an app in less time as compared to visiting a store. Click Here to know more about the app or to download the app.

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

" করোনা " থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ------স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ভবিষ্যতের আক্রমণ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ হলো বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ফোকাস ।

করোনার প্রেক্ষিতে সনাতনী আচার যা অসম্ভব রকমের বিজ্ঞানভিত্তিক অভ্যাস ।